রাঙাপানি এলাকায় এমন কী সমস্যা হচ্ছে যার জন্য লাইনের রক্ষণাবেক্ষণ ঠিক রাখা যাচ্ছে না? তৃতীয়বার মালগাড়ি দুর্ঘটনায় ফের এই প্রশ্ন সামনে চলে এসেছে। শুক্রবার রাতে নুমালিগড় থেকে চটেরহাটের দিকে আসার সময় মূল লাইনের আগে বেলাইন হয় জ্বালানি-ভর্তি ট্যাঙ্কারবাহী মালগাড়ির দু’টি কামরা। প্রাথমিক ভাবে রেল সূত্রের দাবি, ট্রেন লাইনের নীচে মাটি বসে গিয়েছিল। নজরদারি করা হয়নি বলে অভিযোগ। সেজন্যই লাইন বেঁকে গিয়ে কামরাগুলি লাইনচ্যুত হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও কেন ফের মালগাড়ি লাইনচ্যুত হল, এ বিষয়ে কোনও সুনির্দিষ্ট কারণ ঘটনার প্রায় ২৪ ঘণ্টা পরেও জানাতে পারেননি রেল আধিকারিকেরা। কাটিহার ডিভিশনের ডিআরএম সুরেন্দ্র কুমার বলেন, ‘‘বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ আজ, রবিবার পুরো এলাকা পরিদর্শনে আসতে পারেন ডিআরএম।
রাঙাপানি এলাকায় এর আগেও ঠিক ওই একই তৈলশোধনাগার কেন্দ্রে ঢোকার সময় বেলাইন হয় মালগাড়ি। সে সময় পয়েন্টের গোলমাল ছিল বলেই দাবি। মূল লাইনও ব্লক হয়ে যায় সে বার। তার কিছুদিন আগেই রাঙাপানি এলাকাতেই চটেরহাটগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পিছনে সিগনাল উপেক্ষা করে ধাক্কা মারে একটি মালগাড়ি। ১০ জনের মৃত্যু হয়।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল সূত্রে দাবি, রাঙাপানি থেকে চটেরহাটের মাঝে রেলের মূল লাইন থেকে নুমালিগড় তৈল শোধনাগার কেন্দ্রের দিকে দু’টি লাইন গিয়েছে। সেই লুপ লাইনের মেরামতির জন্য শোধনাগার সংস্থার কাছ থেকেই টাকা পায় রেল। অথচ, রক্ষণাবেক্ষণ সঠিকভাবে হচ্ছে না বলেই রেল কর্মীদের একটি অংশের দাবি। পর্যাপ্ত কর্মী এবং পরিকাঠামো নেই বলেও অভিযোগ রয়েছে ওই রেল কর্মীদের।
তাঁদের দাবি পুরো এলাকাটির সমীক্ষা করে ত্রুটিগুলি দ্রুত চিহ্নিত করা এবং মেরামতির প্রয়োজন। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কপিঞ্জল কিশোর শর্মা বলেন, ‘‘শোধনাগার সংস্থা টাকা দেয় ঠিকই, কিন্তু কাজটি করিয়েও তো নিতে হবে ওদের। কেন বার বার এ রকম হচ্ছে খতিয়ে দেখতে একটি সমীক্ষা পরিকল্পনা করা হচ্ছে।”
Add comment